Friday 31 March 2017

কৃদ্-যোগা ষষ্ঠী - পাঠ ৭

কৃদ্যোগা ষষ্ঠী

রামঃ জলং পিবতি – এই বাক্য ঠিক। কিন্তু আমরা 'পিবতি' এর স্থানে 'পানং করোতি' লিখতে পারি। এরকম্ – 'সেবতে' এর স্থানে 'সেবাং করোতি' এরকম লিখে থাকি। এই প্রসঙ্গে যে ভুলটি হয় সেটি হল, আমরা লিখে ফেলি – রামঃ জলং পানং করোতি বা লক্ষ্মীঃ হরিং সেবাং করোতি ইত্যাদি। পানং এবং সেবাং এখানে আর তিঙন্ত পদ রইলো না, সুবন্ত হয়ে গেছে। তাই জলং এবং হরিং এখানে কর্মে দ্বিতীয়া বিভক্তি হবে না, এখানে কর্মে  ষষ্ঠী বিভক্তির প্রয়োগ করতে হবে। তাই বাক্যগুলি এরকম হবে – রামঃ জলস্য পানং করোতি, লক্ষ্মীঃ হরেঃ সেবাং করোতি। এই ক্ষেত্রে কি নিয়ম আছে তা আমরা নীচে আলোচনা করেছি -

কৃত্-প্রত্যয়ান্ত পদের প্রয়োগে কৃত্-প্রত্যয়ান্ত ধাতুর কর্তা ও কর্মে ষষ্ঠী বিভক্তি হয়।[1] ধাতুর শেষে কিছু প্রত্যয় যুক্ত হয়ে প্রাতিপদিক নির্মাণ করে। এই প্রত্যয়গুলি হল কৃত্ প্রত্যয়।[2] যেমন – ল্যুট্, ঘঞ্, ল্যু, ক্তিন্, অচ্ ইত্যাদি। দর্শন, ভোজন, শয়ন, ভ্রমণ, পান, লাভ, উদয়, জয়, ভোগ, পাক, গতি, উক্তি, বৃষ্টি, ভক্তি, কর্তা ইত্যাদি কৃদন্ত প্রাতিপদিকের উদাহরণ। আমরা এখন এই কৃদন্ত পদপ্রয়োগে কর্তায় ও কর্মে ষষ্ঠীর প্রয়োগ দেখব –

কর্তায় ষষ্ঠী – শিশুঃ শেতে - শিশোঃ শয়নং ভবতি। সূর্যঃ উদেতি – সূর্যস্য উদয়ঃ ভবতি। ব্যাঘ্রঃ বসতি – ব্যাঘ্রস্য বাসঃ ভবতি। সীতা ক্রন্দতি – সীতায়াঃ ক্রন্দনং ভবতি। ধনং বর্ধতে – ধনস্য বৃদ্ধিঃ ভবতি। বধূঃ লজ্জতে – বধ্বাঃ লজ্জা ভবতি। রামঃ তিষ্ঠতি – রামস্য স্থিতিঃ ভবতি। বালকঃ ক্রন্দতি – বালকস্য ক্রন্দনং ভবতি। পশবঃ ম্রিয়ন্তে – পশূনাং মরণং ভবতি।

কর্মে ষষ্ঠী – রামঃ জলং পিবতি – রামঃ জলস্য পানং করোতি। শিশুঃ অন্নং খাদতি – শিশুঃ অন্নস্য খাদনং করোতি। সীতা বিদেশং ভ্রমতি – সীতা বিদেশস্য ভ্রমণং করোতি। ধনিকঃ অর্থং লভতে – ধনিকঃ অর্থস্য লাভং করোতি। অহম্ অন্নং পচামি – অহম্ অন্নস্য পাকং করোমি। যুবকঃ চন্দ্রং পশ্যতি – যুবকঃ চন্দ্রস্য দর্শনং করোতি। বিজ্ঞাঃ সুখং ভুঞ্জতে – বিজ্ঞাঃ সুখস্য ভোগং কুর্বন্তি।

কর্তা ও কর্ম উভয় স্থানে ষষ্ঠীর প্রাপ্তি থাকলে - কর্তা এবং কর্ম উভয় স্থানেই ষষ্ঠীর প্রাপ্তি থাকলে কর্মে ষষ্ঠী[3] হবে এবং কর্তায় তৃতীয়া হবে। যেমন – রামঃ জলং পিবতি – রামেণ জলস্য পানং ভবতি। শিশুঃ অন্নং খাদতি – শিশুনা অন্নস্য খাদনং ভবতি। সীতা বিদেশং ভ্রমতি – সীতযা বিদেশস্য ভ্রমণং ভবতি। ধনিকঃ অর্থং লভতে – ধনিকেন অর্থস্য লাভঃ ভবতি। অহম্ অন্নং পচামি – ময়া অন্নস্য পাকঃ ভবতি। যুবকঃ চন্দ্রং পশ্যতি – যুবকেন চন্দ্রস্য দর্শনং ভবতি।




[1] প্রাসঙ্গিক পাণিনীয় সূত্র – কর্তৃকর্মণোঃ কৃতি
[2] যেমন – দৃশ্ ধাতু উত্তর ভাব বা ক্রিয়া অর্থে ল্যুট্ প্রত্যয় হয়ে দর্শন (দৃশ্+ল্যুট্) শব্দ নিষ্পণ্ণ হয়, তারপর সুপ্ বিভক্তি যুক্ত হয়ে দর্শনম্ পদ নিষ্পন্ন হয়দৃশ্ ধাতুর সঙ্গে তিঙ্ প্রত্যয় যুক্ত হয়ে তিঙন্ত পদ উত্পন্ন হয়, যেমন পশ্যতি ইত্যাদিকিন্তু ল্যুট্ হল কৃত্ প্রত্যয়, দৃশ্ ধাতু পর ল্যুট্ প্রত্যয় যুক্ত হয়ে উত্পন্ন দর্শন রূপটি হল প্রাতিপদিক এবং এর থেকে সুবন্ত পদ উত্পন্ন হয়, যেমন দর্শনম্ দর্শনে দর্শনানি ইত্যাদি
[3] প্রাসঙ্গিক পাণিনীয় সূত্র – উভয়প্রাপ্তৌ কর্মণি

সকর্মক ও অকর্মক ধাতু - পাঠ ৬

সকর্মক এবং অকর্মক ধাতু

ধাতু দুই ধরণের হতে পারে - সকর্মক আর অকর্মক। যদি আমি শুধুমাত্র বলি যে আমি খাই তাহলে সাধারণ একটা প্রশ্ন আসে যে আমি কি খাই? আমি যদি শুধুমাত্র বলি যে আমি পড়ি তাহলে সাধারণ একটা প্রশ্ন আসে যে আমি কি পড়ি? যে ক্রিয়ায় এরকম কর্মের আকাঙ্ক্ষা থাকে তাকে সকর্মক ক্রিয়া বলা হয়। আর আমি ঘুমাচ্ছি বললে কেউই জিজ্ঞাসা করে না যে আপনি কী ঘুমাচ্ছেন? অর্থাৎ যে ক্রিয়ায় কর্মের আকাঙ্ক্ষা থাকে না সেগুলি হল অকর্মক ক্রিয়া।

ধাতুই হল ক্রিয়া - ধাতুশব্দঃ ক্রিয়াবচনঃ।  সুতরাং পঠ্ বা খাদ্ ধাতু হল সকর্মক ধাতু এবং শীধাতু হল অকর্মক ধাতু।
ধাতুর ক্ষেত্রে যে দুটি বিষয় আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তা হল – ফল ও ব্যাপার। ধাতু ফল ও ব্যাপারবিশিষ্ট হয়। বলা হয় – ফলব্যাপারয়োর্ধাতুঃ। ব্যাপার হল মূল ও অবান্তর সবরকম ক্রিয়া। যেমন পচ্ ধাতুর অর্থ হল রান্না করা। ধরা যাক ভাত রান্না হচ্ছে। ভাত রান্নার পদ্ধতি এইরূপ – প্রথমে গ্যাস জালানো হল, তারপর হাড়িটি বা প্রেসার কুকারটি ধুয়ে ওভেন এ চাপানো হল, তারপর হাড়িতে বা কুকারে জল ও চাল দেওয়া হল ।  এরপর জল গরম হয়ে চাল সেদ্ধ হতে থাকল।  চাল সেদ্ধ হয়ে গেলে হাঁড়ি বা প্রেসার কুকারটি নামানো হল। এই রান্না করার ফল হল সেদ্ধ হওয়া। আর গ্যাস জালানো থেকে শুরু করে হাঁড়ি বা কুকার নামানো পর্যন্ত ক্রিয়াগুলি হল ব্যাপার। সুতরাং পচ্ ধাতুর ফল হল সেদ্ধ হওয়া বা বিক্লিত্তি আর ব্যাপার হল গ্যাস জালানো, হাড়ি চাপানো ইত্যাদি। 

সকর্মক ও অকর্মক ধাতু নির্ণয়ের পদ্ধতিটি অত্যন্ত সহজ। যে ধাতুর ফল ও ব্যাপারের আশ্রয় ভিন্ন ভিন্ন সেই ধাতু সকর্মক ধাতু। যে ধাতুর ফল ও ব্যাপারের আশ্রয় ভিন্ন নয় সেটি হল অকর্মক ধাতু। এরপর নিয়মটি আমরা বিস্তারে আলোচনা করব –

সকর্মক ধাতু – রামঃ অন্নং পচতি। এখানে পচ্ ধাতুর ফল হল সেদ্ধ হওয়া। সেদ্ধ হওয়ার আশ্রয় কি? অর্থাত্ কে সেদ্ধ হচ্ছে। দেখা গেল অন্ন সেদ্ধ হচ্ছে; রাম বা হাঁড়ি সেদ্ধ হচ্ছে না। অন্ন এই বাক্যে কর্ম। সুতরাং পচ্ ধাতুর ফলের (সেদ্ধ হওয়ার) আশ্রয় হল কর্ম (অন্ন)। ক্রিয়ার আশ্রয় সবসময় কর্তাই হয়ে থাকে। তাই গ্যাস জালানো ইত্যাদি অবান্তর বা গৌণ ক্রিয়ার অর্থাত্ ব্যাপারের আশ্রয় হল কর্তা রাম। সুতরাং, এখানে ফলের আশ্রয় হল কর্ম আর ব্যাপারের আশ্রয় হল কর্তা। যেহেতু, পচ্ ধাতুর ফল ও ব্যাপারের আশ্রয় ভিন্ন ভিন্ন তাই পচ্ ধাতু হল সকর্মক ধাতু। এরকম খাদ্, পঠ্, গম্, ক্ষিপ্ ইত্যাদি স্থলেও বুঝতে হবে।

অকর্মক ধাতু – রামঃ শেতে। এখানে শয়ন অর্থাত্ নিদ্রা যাওয়ার ফল হল আনন্দ বা শ্রম দূরীকরণ। শয়নের অবান্তর ব্যাপারগুলি হল অর্থাত্ গৌণ ক্রিয়াগুলি হল – বিছানা প্রস্তুত করা, শরীরকে বিছানার সঙ্গে সমান্তরাল ভাবে স্থাপন করা, চোখ বন্ধ করা ইত্যাদি। এখানে শয়নক্রিয়ার ফল আনন্দ রামের ই হয়, অর্থাত্ আনন্দের আশ্রয় এখানে রাম।  শয়নক্রিয়া এবং অন্যান্য অবান্তর ক্রিয়াগুলির আশ্রয় হল রাম, কারণ কর্তাই সর্বদা ক্রিয়ার আশ্রয় হয়।  সুতরাং, শয়নক্রিয়ার ফল এবং ব্যাপারের আশ্রয় হল রাম। শয়নক্রিয়ার ফল ও ব্যাপারের আশ্রয় অভিন্ন হওয়ায় অর্থাত্ আলাদা না হওয়ায় শয়নক্রিয়া হল অকর্মক ক্রিয়া বা শী ধাতু হল অকর্মক ধাতু।

তবুও একটা সাধারণ মঞ্চ গড়ে তোলা দরকার যেখানে অকর্মক ধাতুগুলি আরও সহজেই চিহ্নিত হবে। অকর্মকগুলি জানা হয়ে গেলে সেগুলো বাদ দিয়ে সকর্মকধাতুগুলির নির্ণয়ের পথও প্রশস্ত হবে। অকর্মক ধাতু নির্ণায়ক শ্নোকটি হল-

লজ্জা-সত্তা-স্থিতি-জাগরণং বৃদ্ধি-ক্ষয়-ভয়-জীবিত-মরণম্।
নর্তন-নিদ্রা-রোদন-বাসাঃ স্পর্ধা-কম্পন-মোদন-হাসাঃ।
শয়ন-ক্রীড়া-রুচি-দীপ্ত্যর্থাঃ ধাতব এতে কর্মণি নোক্তাঃ।

লজ্জা, সত্তা অর্থাত্ থাকা, স্থিতি অর্থাত্ গতিনিবৃত্তি, জাগরণ অর্থাত্ জেগে থাকা, বৃদ্ধি অর্থাত্ বেড়ে যাওয়া, ক্ষয়, জীবিত থাকা, মারা যাওয়া, নাচ করা, ঘুমানো, কাঁদা, বাস করা, স্পর্ধা করা, কাঁপা, আনন্দ করা, হাসা, শোওয়া বা ঘুমানো, খেলা, রুচি হওয়া এবং দীপ্ত বা প্রকাশিত হওয়া – এই অর্থে ব্যবহৃত ধাতুসমূহ[1] অকর্মক হয়। এগুলি ছাড়া অন্যান্য ধাতুগুলি হল সকর্মক ধাতু।

লজ্জা – লজ্জ্
সত্তা – অস্, ভূ
স্থিতি – স্থা
জাগরণ – জাগৃ
বৃদ্ধি – বৃধ্, এধ্
ক্ষয় – ক্ষি
ভয় – ভী
জীবন – জীব্
মরণ – মৃ
নর্তন – নৃত্
নিদ্রা – নিদ্র্
রোদন – ক্রন্দ্, রুদ্
বাস করা – বস্
স্পর্ধা – স্পর্ধ্
কম্পন  - কম্প্, বেপ্
মোদন – মুদ্, নন্দ্
হাসা – হস্
শয়ন – শী
ক্রীড়া – খেল্, ক্রীড্
রুচি – রুচ্
দীপ্তি – ভা, প্র-কাশ্ ইত্যাদি।







[1] একই অর্থে অনেক ধাতু থাকতে পারে। যেমন যাওয়া অর্থে গম্, অয়্, ঋ, ইণ্, যা ইত্যাদি অনেক ধাতু আছে। 

Tuesday 28 March 2017

সংখ্যা পরিচয় - পাঠ ৫


সংখ্যা পরিচয়


সংখ্যাবাচক শব্দগুলির সঠিক ব্যবহার জ্ঞান না থাকলে অনুবাদ করা সম্ভব হয় না। একজন মানুষ যাচ্ছে, দশজন ভক্ত পূজা করছে, কুড়িটা টাকা দাও – এরকম ব্যবহার আমরা প্রতিপদেই পেয়ে থাকি। তাই আমরা এবারে সংখ্যাবাচক শব্দগুলির ব্যবহার শিখব। সংখ্যাবাচক শব্দগুলির একটি তালিকা শেষে দেওয়া হয়েছে।

সংখ্যাবাচক শব্দগুলি দুইভাবে ব্যবহৃত হয় – বিশেষ্য হিসাবে এবং বিশেষণ হিসাবে। যেমন – একঃ ৰালকঃ – এখানে বালক এর বিশেষণরূপে একশব্দটি প্রযুক্ত। ৰালকানাং বিংশতিঃ – এখানে বিংশতি শব্দটি বিশেষ্য, এটি বাক্যে কারোর বিশেষণরূপে ব্যবহৃত হয়নি। যখন সংখ্যাবাচক শব্দগুলি বিশেষণরূপে ব্যবহৃত হয় তখন তাদের সংখ্যেয় বলে। সংখ্যাবাচক শব্দগুলি বিশেষ্যরূপে ব্যবহৃত হলে সেগুলিকে সংখ্যা বলা হয়। এবার আমরা কিছু প্রয়োগ দেখব আর কিছু নিয়ম স্থির করবো।

F এক থেকে অষ্টাদশ পর্যন্ত আঠারোটি শব্দ কেবল সংখ্যেয়রূপেই প্রযুক্ত হয়। ঊনবিংশতি থেকে শুরু করে যাবতীয় সংখ্যাবাচক শব্দ সংখ্যা এবং সংখ্যেয় উভয়ভাবেই প্রযুক্ত হতে পারে।

F সংখ্যেয়ের ব্যবহারের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম হল-

১) একশব্দ সর্বনাম, তিনলিঙ্গেই সর্বশব্দের মতো রূপ হয়। দ্বিশব্দ দ্বিচনান্তরূপে প্রযুক্ত হয়। যেমন - একঃ ৰালকঃ।  দ্বৌ ৰালকৌ।

২) এক, দুই, তিন, চার এই চার সংখ্যেয় এর ক্ষেত্রে আমরা তিনলিঙ্গে তিন প্রকার রূপ দেখব। যেমন - একঃ ৰালকঃ। একা বালিকা। একং ফলম্। দ্বৌ ৰালকৌ। দ্বে ৰালিকে। দ্বে ফলে। ত্রয়ঃ ৰালকাঃ। তিস্রঃ ৰালিকাঃ। ত্রীণি ফলানি। চত্বারঃ ৰালকাঃ। চতস্রঃ ৰালিকাঃ। চত্বারি ফলানি।

৩) পাঁচ থেকে আঠারো পর্যন্ত সংখ্যাবাচক শব্দগুলির নপুংসকলিঙ্গে এবং বহুবচনে প্রযুক্ত হয়। তিন থেকে আঠারো পর্যন্ত সংখ্যাবাচক শব্দগুলি বহুবচনান্ত হয়। পঞ্চ ৰালকাঃ। পঞ্চ ৰালিকাঃ। পঞ্চ ফলানি।  ষট্ ৰালকাঃ। ষট্ ৰালিকাঃ। ষট্ ফলানি।

৪) সংখ্যেয় রূপে ব্যবহৃত ঊনবিংশতি থেকে নবনবতি(৯৯) পর্যন্ত শব্দগুলি স্ত্রীলিঙ্গী ও একবচনান্ত। বহুবচনান্ত পদের বিশেষণ হলেও উক্ত সংখ্যাবাচক শব্দগুলি একবচনেই প্রযুক্ত হবে। এদের মধ্যে ত-কারান্ত (ত্রিংশৎ, চত্বারিংশৎ ইত্যাদি) শব্দগুলি ভূভৃৎ শব্দের মতো এবং ইকারান্ত(বিংশতি, অশীতি ইত্যাদি) শব্দগুলি মতিশব্দের মতো। এদের উদাহরণ হল -  ঊনবিংশতিঃ আম্রাণি। ঊনবিংশত্যা আম্রৈঃ। বিংশতিঃ ফলানি। ত্রিংশৎ ৰালকাঃ। ত্রিংশতা ৰালকৈঃ।

৫) শতম্, সহস্রম্, অযুতম্, লক্ষম্, নিযুতম্ – এই শব্দগুলি নপুংসকলিঙ্গী এবং একবচনান্ত ও ফলশব্দের মতো। কোটিশব্দ স্ত্রীলিঙ্গী এবং একবচনান্ত ও মতিশব্দের মতো  সহস্রং স্ত্রিয়ঃ। কোটিঃ তরবঃ।

F এবার সংখ্যা ব্যবহারের কিছু নিয়ম দেখা যাক –
১) সংখ্যাবাচক শব্দ সংখ্যারূপে ব্যবহৃত হলে যার সংখ্যা হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে সেখানে ষষ্ঠীবিভক্তি হয়। যেমন ৰালকানাং বিংশতিঃ। এখানে বিংশতিশব্দটি বিশেষ্য তাই সংখ্যা, সংখ্যেয় নয়। বালকদের সংখ্যা বোঝাচ্ছে তাই বালকশব্দে ষষ্ঠীবিভক্তি হয়েছে।

২) সংখ্যার আবৃত্তি (Repetition) বোঝাতে বিংশতি প্রভৃতি বিশেষ্য শব্দের দ্বিবচন ও বহুবচন হয়। যেমন দুই কুড়ি আম – আম্রাণাং দ্বে বিংশতী। তিনশো বালক – ৰালকানাং ত্রীণি শতানি।

F  ঊনবিংশতি থেকে শুরু করে যাবতীয় সংখ্যাবাচক শব্দ সংখ্যা এবং সংখ্যেয়রূপে প্রযুক্ত হতে পারে বলা হয়েছে। তার উদাহরণ –
বিংশতিঃ ফলানি, ফলানাং বিংশতিঃ।  ত্রিশতং ফলানি, ফলানাং ত্রীণি শতানি  পঞ্চসহস্রং নার্যঃ, নারীণাং পঞ্চ সহস্রাণি ইত্যাদি।

1 – एकः, एका, एकम्
28 - अष्टाविंशतिः
55 - पञ्चपञ्चाशत्
82 - द्व्यशीतिः
109 - नवाधिकं शतम्
2 - द्वौ, द्वे, द्वे
29 - नवविंशतिः, ऊनत्रिंशत्, एकोनत्रिंशत्
56 - षट्पञाशत्
83 - त्र्यशीतिः
110 - दशाधिकं शतम्
3 - त्रयः, तिस्रः, त्रीणि
30 - त्रिंशत्
57 - सप्तपञ्चाशत्
84 - चतुरशीतिः
120 - विंशत्यधिकं शतम्
4 - चत्वारः, चतस्रः, चत्वारि
31 - एकत्रिंशत्
58 - अष्टापञ्चाशत्, अष्टपञ्चाशत्
85 - पञ्चाशीतिः
130 - त्रिंशदधिकं शतम्
5 - पञ्च
32 - द्वात्रिंशत्
59 - नवपञ्चाशत्, उनषष्टिः, एकोनषष्टिः
86 - ष़डशीतिः
140 - चत्वारिंशदधिकं शतम्
6 - षट्
33 - त्रयस्त्रिंशत्
60 - षष्टिः
87 - सप्ताशीतिः
150 - पञ्चाशदधिकं शतम्
7 - सप्त
34 - चतुस्त्रिंशत्
61 - एकषष्टिः
88 - अष्टाशीतिः
160 - षष्ट्यधिकं शतम्
8 - अष्ट, अष्टौ
35 - पञ्चत्रिंशत्
62 - द्वाषष्टिः, द्विषष्टिः
89 - नवाशीतिः, ऊननवतिः, एकोननवतिः
170 - सप्तत्यधिकं शतम्
9 - नव
36 - षट्त्रिंशत्
63 - त्रयःषष्टिः, त्रिषष्टिः
90 - नवतिः
180 - अशीत्यधिकं शतम्
10 - दश
37 - सप्तत्रिंशत्
64 - चतुःषष्टिः
91 - एकनवतिः
190 - नवत्यधिकं शतम्
11 - एकादश
38 - अष्टात्रिंशत्
65 - पञ्चषष्टिः
92 - द्वानवतिः, द्विनवतिः
200 - द्विशतम्, द्वे शते
12 – द्वादश
39 - नवत्रिंशत्, ऊनचत्वारिंशत्, एकोनचत्वारिंशत्
66 - षट्षष्टिः
93 - त्रयोनवतिः, त्रिनवतिः
300 - त्रिशतम्, त्रीणि शतानि
13 - त्रयोदश
40 - चत्वारिंशत्
67 - सप्तषष्टिः
94 - चतुर्नवतिः
400 - चतुःशतम्, चत्वारि शतानि
14 - चतुर्दश
41 - एकचत्वारिंशत्
68 - अष्टाषष्टिः, अष्टषष्टिः
95 - पञ्चनवतिः
500 - पञ्चशतम्, पञ्च शतानि
15 - पञ्चदश
42 - द्वाचत्वारिंशत्
69 - नवषष्टिः, ऊनसप्ततिः, एकोनसप्ततिः
96 - षण्णवतिः
600 - षट्शतम्, षट् शतानि
16 - षोडश
43 -त्रयश्चत्वारिंशत्

70 - सप्ततिः
97 - सप्तनवतिः
700 - सप्तशतम्, सप्त शतानि
17 - सप्तदश
44 - चतुश्चत्वारिंशत्
71 - एकसप्ततिः
98 - अष्टानवतिः, अष्टनवतिः
800 - अष्टशतम्, अष्ट शतानि
18 - अष्टादश
45 - पञ्चचत्वारिंशत्
72 - द्वासप्ततिः, द्विसप्ततिः
99 - नवनवतिः, ऊनशतम्. एकोनशतम्
900 - नवशतम्, नव शतानि
19 – ऊनविंशतिः नवदश,एकोनविंशतिः
46 - षट्चत्वारिंशत्
73 - त्रयःसप्ततिः
100 - शतम्
1000 - सहस्रम्
20 - विंशतिः
47 - सप्तचत्वारिंशत्
74 - चतुःसप्ततिः
101 - एकाधिकशम्
10000 - अयुतम्
21 - एकविंशतिः
48 - अष्टाचत्वारिंशत्, अष्टचत्वारिंशत्
75 - पञ्चसप्ततिः
102 - द्व्यधिकशतम्
100000 - लक्षम्
22 - द्वाविंशतिः
49 - नवचत्वारिंशत्, ऊनपञ्चाशत्, एकोनपञ्चाशत्
76 - षट्सप्ततिः
103 - त्र्यधिकशतम्
1000000 - नियुतम्
23 – त्रयोविंशतिः
50 - पञ्चाशत्
77 - सप्तसप्ततिः
104 - चतुरधिकशतम्
10000000 - कोटिः
24 - चतुर्विंशतिः
51 - एकपञ्चाशत्
78 - अष्टासप्ततिः, अष्टसप्ततिः
105 - पञ्चाधिकशतम्

25 - पञ्चविंशतिः
52 - द्विपञ्चाशत्
द्वापञ्चाशत्
79 - नवसप्ततिः, ऊनाशीतिः, एकोनाशीतिः
106 - षडधिकं शतम्

26 - षड्विंशतिः
53 - त्रयःपञ्चाशत्, त्रिपञ्चाशत्
80 - अशीतिः
107 - सप्ताधिकं शतम्

27 - सप्तविंशतिः
54 - चतुःपञ्चाशत्
81 - एकाशीतिः
108 - अष्टाधिकं शतम्