Sunday 4 June 2017

বাচ্য পরিবর্তন - পাঠ ৮

বাচ্য পরিবর্তন[1]


একটি বাক্যে কর্তা কর্ম করণ সম্প্রদান অপাদান অধিকরণ ভাব (ক্রিয়া) ইত্যাদি অভিহিত বা উক্ত হতে পারে। এই কারকগুলি উক্ত হয় সাধারণতঃ তিঙ্ কৃত্ তদ্ধিত সমাস এবং কিছু কিছু নিপাত দ্বারা।[2] তিঙ্ এর দ্বারা সাধারণতঃ কর্তা, কর্ম এবং ক্রিয়া উক্ত হয়। তাই তিঙ্ এর দ্বারা কর্তৃবাচ্য কর্মবাচ্য ভাববাচ্য এবং কর্মকর্তৃবাচ্যে ব্যবহার হয়ে থাকে। কর্মের অন্তর্ভুক্ত কর্তা উক্ত হলে কর্মকর্তৃবাচ্য হয়।

কর্তৃবাচ্য -  কর্তৃবাচ্যে তিঙ্ এর দ্বারা কর্তা উক্ত হয়। তাই উক্ত কর্তায় প্রথমা বিভক্তি হয়। কর্ম অনুক্ত থাকে, তাই অনুক্ত কর্মে দ্বিতীয়া বিভক্তি হয়। কর্তৃবাচ্যে ক্রিয়া কর্তা অনুসারে হয়, কারণ কর্তায় প্রথমা বিভক্তি থাকে[3]কর্তৃবাচ্যে ধাতু পরস্মৈপদী আত্মনেপদী বা উভয়পদী হতে পারে। উদাহরণ – রামঃ বেদং পঠতি।[4]

কর্মবাচ্য -  কর্মবাচ্যে তিঙ্ এর দ্বারা কর্ম উক্ত হয়। কর্তা উক্ত না হওয়ায় অনুক্ত কর্তায় তৃতীয়া বিভক্তি হয়। কর্ম উক্ত হওয়ায় কর্মে প্রথমা বিভক্তি হয়। কর্মবাচ্যে ক্রিয়া কর্ম অনুসারে হয়, কারণ কর্মে প্রথমা বিভক্তি থাকে। কর্মবাচ্যে ধাতুর সঙ্গে যক্ সংযুক্ত হয় এবং ধাতুটি আত্মনেপদী হয়। উদাহরণ – রামেণ বেদঃ পঠ্যতে।[5]

ভাববাচ্যে - ভাববাচ্যে কর্ম থাকে না। ভাববাচ্যে তিঙ্ এর দ্বারা ক্রিয়ার অর্থই উক্ত বা অভিহিত হয়। কর্তা উক্ত না হওয়ায় অনুক্ত কর্তায় তৃতীয়া বিভক্তি হয়। বাক্যে কোথাও প্রথমা বিভক্তি না থাকায় ধাতুটির সঙ্গে যক্ সংযুক্ত হয় এবং ধাতুটি প্রথম পুরুষ একবচনে প্রযুক্ত হয়। উদাহরণ – ধনং ক্ষীয়তে।[6]

কর্মকর্তৃবাচ্যে - যে আরব্ধ কর্ম এত অনায়াসে সম্পন্ন হয়ে যায় যে মনে হয় সেই কর্ম নিজেই সম্পাদিত হচ্ছে এবং যেন কোনো কর্তার উপর নির্ভরশীল নয়; সেই কর্মকেই কর্মকর্তা বলে। যেমন গাছটি নিজেই কর্তিত হচ্ছে। অর্থাত্ যদিও কাঠুরে গাছটি কাটছে, তথাপি গাছটি এত সহজে কাটা যাচ্ছে যেন মনে হচ্ছে গাছটি নিজেই কাটা যাচ্ছে। এরকম আরো বলা যায়, পেনটি নিজেই লিখছে। আসলে পেনটি এত ভালো যে কোনো জোর প্রয়োগ না করেই সুন্দরভাবে লেখা যায়। এসব ক্ষেত্রে কর্মকর্তায় প্রথমা এবং ক্রিয়া কর্মবাচ্যের মত হয়। উদাহরণ – বৃক্ষঃ স্বয়মেব ছিদ্যতে। ওদনঃ স্বয়মেব পচ্যতেবুদ্ধিঃ স্বয়মেব ক্ষীয়তে।[7]

এক নজরে কর্তৃবাচ্য, কর্মবাচ্যে এবং ভাববাচ্যে বাক্যের স্বরূপ –

কর্তৃবাচ্য
কর্তা উক্ত, কর্তায় প্রথমা বিভক্তি
কর্ম অনুক্ত, কর্মে দ্বিতীয়া বিভক্তি
ক্রিয়া কর্তানুসারী এবং স্বভাব অনুযায়ী পরস্মৈপদী বা আত্মনেপদী বা উভয়পদী
রামঃ
গ্রন্থম্
পঠতি
কর্মবাচ্য
কর্তা অনুক্ত, কর্তায় তৃতীয়া বিভক্তি
কর্ম উক্ত, কর্মে প্রথমা বিভক্তি
মূল ধাতুর সঙ্গে য যোগ করে নিষ্পন্ন ধাতু আত্মনেপদী, ক্রিয়া কর্ম অনুযায়ী
রামেণ         
গ্রন্থঃ
পঠ্যতে (পঠ্+য+ত)
ভাববাচ্য
কর্তা অনুক্ত, কর্তায় তৃতীয়া বিভক্তি
কর্ম নেই
মূল ধাতুর সঙ্গে য যোগ করে আত্মনেপদী ধাতু, ক্রিয়া প্রথমপুরুষ একবচনে
শিশুনা
-
হস্যতে (হস্+য+ত)

এক নজরে কর্তৃবাচ্য থেকে কর্মবাচ্যে এবং ভাববাচ্যে বাক্য পরিবর্তনের নিয়মাবলী –

কর্তৃবাচ্য
রামঃ
(কর্তায় প্রথমা)
গ্রন্থম্
(কর্মে দ্বিতীয়া)
পঠতি
(ক্রিয়া কর্তা অনুযায়ী)
কর্তৃবাচ্য থেকে কর্মবাচ্য
কর্তায় তৃতীয়া
কর্মে প্রথমা
মূল ধাতুর + য এবং আত্মনেপদী সেব্ ধাতুর মত, ক্রিয়ার পুরুষ বচন কর্ম অনুযায়ী
রামেণ
গ্রন্থঃ
পঠ্যতে (পঠ্+য+ত)

কর্তৃবাচ্য
শিশুঃ
(কর্তায় প্রথমা)
-
হসতি
(ক্রিয়া কর্তা অনুযায়ী)
কর্তৃবাচ্য থেকে ভাববাচ্য
কর্তায় তৃতীয়া
কর্ম নেই
মূল ধাতুর + য এবং আত্মনেপদী সেব্ ধাতুর মত, ক্রিয়া প্রথমপুরুষ একবচনে
শিশুনা
-
হস্যতে

বাচ্য পরিবর্তনের সময় কর্তা কর্ম ও ক্রিয়া ছাড়া অন্যান্য পদগুলির কোনো পরিবর্তন হয় না। যেমন –

কর্তৃবাচ্য
কর্মবাচ্য/ভাববাচ্য[8]
সুদীপঃ প্রাতঃ ছাত্রাবাসাত্ লোকযানেন বিশ্ববিদ্যালযং গচ্ছতি
সুদীপেন প্রাতঃ ছাত্রাবাসাত্ লোকযানেন বিশ্ববিদ্যালযঃ গম্যতে
অহং প্রত্যহং ক্রীডাযৈ ক্রীডাক্ষেত্রং গচ্ছামি
মযা প্রত্যহং ক্রীডাযৈ ক্রীডাক্ষেত্রং গম্যতে
সীতা গীতায়াঃ সকাশাত্ মিতায়াঃ গ্রন্থম্ অনযত্
সীতয়া গীতায়াঃ সকাশাত্ মিতায়াঃ গ্রন্থঃ অনীয়ত
ত্বং ভোজনাপণে পলান্নং খাদসি
ত্বযা ভোজনাপণে পলান্নং খাদ্যতে

দ্বিকর্মক ধাতুর ক্ষেত্রে বাচ্য পরিবর্তনের নিয়মাবলী

যে ধাতুগুলির দুটি করে কর্ম সম্ভব সেগুলি হল দ্বিকর্মক ধাতু।  ক) দুহ্, যাচ্, পচ্, দণ্ড্, রুধ্, প্রচ্ছ্, চি, ব্রু, শাস্, জি, মন্থ্, মুষ্  খ) নী, হৃ, কৃষ্ এবং বহ্ এই ধাতুগুলি এবং এই ধাতুর অর্থে বর্তমান[9] অন্যান্য ধাতুগুলি দ্বিকর্মক। দুহ্ থেকে শুরু করে মুষ্ পর্যন্ত ধাতুগুলিকে দুহাদি বলা হয়।

দ্বিকর্মক ধাতুগুলির ক্ষেত্রে একটি মুখ্য কর্ম থাকে এবং একটি গৌণ কর্ম থাকে। যেমন - গোপঃ গাং পয়ঃ দোগ্ধি, অর্থাত্ গোপালক গরুর থেকে দুধ দুইছে। এখানে দোহন ক্রিয়ার কর্তা হল গোপালক (গোপঃ) এবং কর্ম হল দুধ (পয়ঃ)। সুতরাং, পয়ঃ হল মুখ্য কর্ম। গোরুবোধক গাং পদে কর্মকারক হয়েছে অপাদান কারকের অবিবক্ষাবশতঃ অর্থাত্ অপাদান কারক বলতে চাওয়া হয়নি বলে। সুতরাং গোরু হল এখানে গৌণ কর্ম। এরকমই – দেবদত্তঃ তণ্ডুলান্ ওদনং পচতি, অর্থাত্ দেবদত্ত চাল দিয়ে ভাত রান্না করছে। এই বাক্যে রন্ধন ক্রিয়ার কর্তা দেবদত্ত এবং মুখ্য কর্ম ভাত (ওদনম্)। চালবোধক তণ্ডুলান্ এই পদে করণকারকের অবিবক্ষাবশতঃ কর্মকারক হয়েছে। তাই চাল হল এখানে গৌণ কর্ম। এরকম অন্যান্য উদাহরণগুলিতেও[10] বুঝতে হবে।

এই ষোলটি ধাতুযুক্ত বাক্যসমূহের বাচ্য পরিবর্তনের ক্ষেত্রে একটি শঙ্কা উপস্থিত হয়। যেমন – বামনঃ বলিং বসুধাং যাচতে, অর্থাত্ বামন বলির কাছে পৃথিবী চাইছে। এই বাক্যে বলিম্ এবং বসুধাম্ এই দুটি পদেই কর্মকারক বিদ্যমানসুতরাং, কর্তৃবাচ্যে থাকা এই বাক্যটিকে কর্মবাচ্যে পরিবর্তনের সময় দুটি পদেই কি প্রথমা হবে, নাকি যেকোনো একটিতে হবে।

এই শঙ্কা নিবারণের জন্য বলা হচ্ছে যে কর্তৃবাচ্য থেকে কর্মবাচ্যে বাক্য পরিবর্তনের সময় দুহাদি বারোটি ধাতুর গৌণ কর্মে প্রথমা হবে এবং নী, হৃ, কৃষ্ এবং বহ্ এই চারটি ধাতুর মুখ্যকর্মে প্রথমা হবে[11]।  আমরা উদাহরণ সহ নীচে এই নিয়মের ব্যবহার দেখব।

দুহ্যাদি বারোটি ধাতুর যোগে কর্মবাচ্যে গৌণ কর্মে প্রথমা
সংখ্যা
বাচ্য
কর্তা
গৌণ কর্ম
মুখ্য কর্ম
ক্রিয়া
কর্তৃবাচ্য
গোপঃ  
গাং
দুগ্ধং
দোগ্ধি
কর্মবাচ্য
গোপেন
গৌঃ
দুগ্ধং
দুহ্যতে
কর্তৃবাচ্য
বামনঃ  
বলিং
বসুধাং
যাচতে
কর্মবাচ্য
বামনেন
বলিঃ
বসুধাং
যাচ্যতে
কর্তৃবাচ্য
বালিকা
বৃক্ষং
পুষ্পং
চিনোতি
কর্মবাচ্য
বালিকযা
বৃক্ষঃ
পুষ্পং
চীযতে
কর্তৃবাচ্য
শিষ্যঃ  
গুরুং
ধর্মং
পৃচ্ছতি
কর্মবাচ্য
শিষ্যেণ
গুরুঃ
ধর্মং
পৃচ্ছ্যতে

নী, হৃ, কৃষ্ এবং বহ্ ধাতুর যোগে কর্মবাচ্যে মুখ্য কর্মে প্রথমা
সংখ্যা
বাচ্য
কর্তা
গৌণ কর্ম
মুখ্য কর্ম
ক্রিয়া
কর্তৃবাচ্য
গোপঃ 
গৃহং
গাং
নয়তি
কর্মবাচ্য
গোপেন
গৃহং
গৌঃ
নীযতে
কর্তৃবাচ্য
ভৃত্যঃ
গ্রামং
ভারং
বহতি
কর্মবাচ্য
ভৃত্যেন
গ্রামং
ভারঃ
উহ্যতে
কর্তৃবাচ্য
বালকঃ
গ্রামং
অজাং
হরতি
কর্মবাচ্য
বালকেন
গ্রামম্
অজা
হ্রিয়তে
কর্তৃবাচ্য
কৃষীবলঃ
ভূমিং
শস্যং
কর্ষতি
কর্মবাচ্য
কৃষীবলেন
ভূমিং
শস্যং
কৃষ্যতে

ক্ত্বা, ল্যপ্ এবং তুমুন্ প্রত্যয় থাকলে বাচ্য পরিবর্তনের নিয়ম

ক্ত্বা, ল্যপ্ ও তুমুন্ প্রত্যয়ান্ত অব্যয়গুলির বাচ্য পরিবর্তনের সময় কোনো পরিবর্তন হয় না। এই অব্যয়গুলির কর্মে সবসময় দ্বিতীয়া বিভক্তি থাকে। যেমন –
রামঃ গ্রামং গত্বা/আগত্য অন্নং খাদতি –    রামেণ গ্রামং গত্বা/আগত্য অন্নং খাদ্যতে।
সীতা গ্রন্থং পঠিতুং গ্রন্থাগারং গচ্ছতি –      সীতয়া গ্রন্থং পঠিতুং গ্রন্থাগারঃ গম্যতে।

তবে, সমাপিকা ক্রিয়ার এবং ক্ত্বা, ল্যপ্ এবং তুমুন্ প্রত্যয়ান্ত অব্যয় এর কর্ম এক হলে কর্মে প্রথমা বিভক্তি হয়। যেমন –
সুব্রতঃ সূপং পক্ত্বা পিবতি –                    সুব্রতেন সূপঃ পক্ত্বা পীযতে

এখানে সূপ-পদটি ক্ত্বাপ্রত্যয়ান্ত পচ্-ধাতুর এবং সমাপিকা ক্রিয়া পা-ধাতুরও কর্ম; তাই বাচ্য পরিবর্তনের সময় সূপ-পদে উক্ত কর্মে প্রথমা বিভক্তি হয়েছে। আরও উদাহরণ –
সীতা স্বামিগুণান্ বিস্মর্তুং ন শক্নোতি –      সীতযা স্বামিগুণাঃ বিস্মর্তুং ন শক্যন্তে।




[1] এই পাঠটি লেখার জন্য লাহিড়ি ও শাস্ত্রী রচিত পাণিনীয়ম্ বইটির সহায়তা নেওয়া হয়েছে।
[2] অভিধানং তু প্রাযেণ তিঙ্-কৃত্-তদ্ধিত-সমাসৈঃ।
[3] বাক্যে যে পদে প্রথমা বিভক্তি থাকে, সেই পদ অনুসারে ক্রিয়া হয়। অর্থাত্ সেই পদের পুরুষ ও বচন অনুসারে ক্রিয়ায় পুরুষ বচন হয়।
[4] কর্তৃবাচ্যপ্রযোগে তু প্রথমা কর্তৃকারকে।
দ্বিতীয়ান্তং ভবেত্ কর্ম কর্মাধীনং ক্রিয়াপদম্।।
[5] কর্মবাচ্যপ্রযোগে তু তৃতীয়া কর্তৃকারকে।
প্রথমান্তং ভবেত্ কর্ম কর্মাধীনং ক্রিয়াপদম্।।
[6] ভাববাচ্যে কর্মাভাব-স্তৃতীয়া কর্তৃকারকে।
প্রথমপুরুষস্যৈকবচনং স্যাত্ ক্রিয়াপদে।।
[7] ক্রিয়মাণন্তু যত্ কর্ম স্বয়মেব প্রসিধ্যতি।
সুকরৈঃ স্বগুণৈঃ কর্তুঃ কর্মকর্তেতি তদ্বিদুঃ।।
[8] কর্মকর্তৃবাচ্যের বাচ্যান্তর করলে ভাববাচ্য হবে। যেমন ওদনঃ স্বযমেব পচ্যতে – ওদনেন স্বযমেব পচ্যতে।
[9] যাচ্ ধাতু দ্বিকর্মক ধাতু, এই ধাতুর অর্থ চাওয়া। যেমন বলিং যাচতে বসুধাম্ – অর্থাত্ বলির কাছে পৃথিবীকে চাইছে। বলিম্ এই পদে অপাদান কারকের অবিবক্ষাবশতঃ অর্থাত্ অপাদান কারক করতে চাওয়া হয়নি বলে অকথিতঞ্চ এই সূত্রানুসারে বলিশব্দে কর্মকারক এবং কর্মকারকে দ্বিতীয়া বিভক্তি হয়েছে। চাওয়া অর্থে অন্যান্য যে ধাতুগুলি আছে সেগুলিও দ্বিকর্মক হবে। যেমন – অর্থ্, ভিক্ষ্ ইত্যাদি।   
[10]  গোপঃ গাং (অপাদান অবি.) দুগ্ধং দোগ্ধি, বামনঃ বলিং (অপাদান অবি.) বসুধাং যাচতে, বালিকা বৃক্ষং (অপাদান অবি.) পুষ্পং চিনোতি, শিষ্যঃ গুরুং (অপাদান অবি.) ধর্মং পৃচ্ছতি, পাচকঃ তণ্ডুলান্ (করণ অবি.) ওদনং পচতি, রাজা চৌরং (অপাদান অবি.) শতং দণ্ডয়তি, গোপং গাং ব্রজং (অধিকরণ অবি.) রুণদ্ধি, গুরুঃ শিষ্যং (সম্প্রদান অবি.) ধর্মং ব্রূতে, আচার্যঃ শিষ্যং (সম্প্রদান অবি.) ধর্মং শাস্তি, দেবদত্তঃ যজ্ঞদত্তং (অপাদান অবি.) শতং জয়তি, দেবগণঃ সমুদ্রম্ (অপাদান অবি.)  অমৃতং মথ্নাতি, চৌরঃ দেবদত্তং (অপাদান অবি.) শতং মুষ্ণাতি। গোপঃ গাং গৃহং (অধিকরণ অবি.) নয়তি, ভৃত্যঃ গ্রামং (অধিকরণ অবি.) ভারং বহতি, বালকঃ অজাং গ্রামং (অধিকরণ অবি.) হরতি, কৃষীবলঃ ভূমিং (অধিকরণ অবি.) শস্যং কর্ষতি।
[11] গৌণে কর্মণি দুহ্যাদেঃ প্রধানে নী-হৃ-কৃষ্-বহাম্।
বিভক্তিঃ প্রথমা জ্ঞেযা দ্বিতীযা স্যাত্ তদন্যতঃ।।