কৃদ্যোগা ষষ্ঠী
রামঃ জলং পিবতি – এই বাক্য
ঠিক। কিন্তু আমরা 'পিবতি' এর স্থানে 'পানং করোতি' লিখতে পারি। এরকম্ – 'সেবতে' এর স্থানে 'সেবাং করোতি' এরকম লিখে থাকি। এই প্রসঙ্গে যে ভুলটি হয় সেটি হল, আমরা লিখে ফেলি –
রামঃ জলং পানং করোতি বা লক্ষ্মীঃ হরিং সেবাং করোতি ইত্যাদি। পানং এবং সেবাং এখানে
আর তিঙন্ত পদ রইলো না, সুবন্ত হয়ে গেছে। তাই জলং এবং হরিং এখানে কর্মে দ্বিতীয়া
বিভক্তি হবে না, এখানে কর্মে ষষ্ঠী বিভক্তির প্রয়োগ করতে হবে। তাই বাক্যগুলি এরকম হবে –
রামঃ জলস্য পানং করোতি, লক্ষ্মীঃ হরেঃ সেবাং করোতি। এই ক্ষেত্রে কি নিয়ম আছে তা
আমরা নীচে আলোচনা করেছি -
কৃত্-প্রত্যয়ান্ত পদের
প্রয়োগে কৃত্-প্রত্যয়ান্ত ধাতুর কর্তা ও কর্মে ষষ্ঠী বিভক্তি হয়।[1] ধাতুর
শেষে কিছু প্রত্যয় যুক্ত হয়ে প্রাতিপদিক নির্মাণ করে। এই প্রত্যয়গুলি হল কৃত্
প্রত্যয়।[2] যেমন –
ল্যুট্, ঘঞ্, ল্যু, ক্তিন্, অচ্ ইত্যাদি। দর্শন, ভোজন, শয়ন, ভ্রমণ, পান, লাভ, উদয়,
জয়, ভোগ, পাক, গতি, উক্তি, বৃষ্টি, ভক্তি, কর্তা ইত্যাদি কৃদন্ত প্রাতিপদিকের
উদাহরণ। আমরা এখন এই কৃদন্ত পদপ্রয়োগে কর্তায় ও কর্মে ষষ্ঠীর প্রয়োগ দেখব –
কর্তায় ষষ্ঠী – শিশুঃ শেতে - শিশোঃ শয়নং ভবতি। সূর্যঃ উদেতি – সূর্যস্য
উদয়ঃ ভবতি। ব্যাঘ্রঃ বসতি – ব্যাঘ্রস্য বাসঃ ভবতি। সীতা ক্রন্দতি – সীতায়াঃ
ক্রন্দনং ভবতি। ধনং বর্ধতে – ধনস্য বৃদ্ধিঃ ভবতি। বধূঃ লজ্জতে – বধ্বাঃ লজ্জা
ভবতি। রামঃ তিষ্ঠতি – রামস্য স্থিতিঃ ভবতি।
বালকঃ ক্রন্দতি – বালকস্য ক্রন্দনং ভবতি। পশবঃ ম্রিয়ন্তে – পশূনাং মরণং ভবতি।
কর্মে ষষ্ঠী – রামঃ জলং পিবতি – রামঃ জলস্য পানং করোতি। শিশুঃ অন্নং
খাদতি – শিশুঃ অন্নস্য খাদনং করোতি। সীতা বিদেশং ভ্রমতি – সীতা বিদেশস্য ভ্রমণং
করোতি। ধনিকঃ অর্থং লভতে – ধনিকঃ অর্থস্য লাভং করোতি। অহম্ অন্নং পচামি – অহম্
অন্নস্য পাকং করোমি। যুবকঃ চন্দ্রং পশ্যতি – যুবকঃ চন্দ্রস্য দর্শনং করোতি।
বিজ্ঞাঃ সুখং ভুঞ্জতে – বিজ্ঞাঃ সুখস্য ভোগং কুর্বন্তি।
কর্তা ও কর্ম উভয়
স্থানে ষষ্ঠীর প্রাপ্তি থাকলে - কর্তা
এবং কর্ম উভয় স্থানেই ষষ্ঠীর প্রাপ্তি থাকলে কর্মে ষষ্ঠী[3] হবে
এবং কর্তায় তৃতীয়া হবে। যেমন – রামঃ জলং পিবতি – রামেণ জলস্য পানং ভবতি। শিশুঃ
অন্নং খাদতি – শিশুনা অন্নস্য খাদনং ভবতি। সীতা বিদেশং ভ্রমতি – সীতযা বিদেশস্য
ভ্রমণং ভবতি। ধনিকঃ অর্থং লভতে – ধনিকেন অর্থস্য লাভঃ ভবতি। অহম্ অন্নং পচামি –
ময়া অন্নস্য পাকঃ ভবতি। যুবকঃ চন্দ্রং পশ্যতি – যুবকেন চন্দ্রস্য দর্শনং ভবতি।
[1]
প্রাসঙ্গিক পাণিনীয় সূত্র –
কর্তৃকর্মণোঃ কৃতি
[2] যেমন – দৃশ্ ধাতু উত্তর ভাব বা ক্রিয়া অর্থে ল্যুট্ প্রত্যয় হয়ে দর্শন (দৃশ্+ল্যুট্)
শব্দ নিষ্পণ্ণ হয়, তারপর সুপ্ বিভক্তি যুক্ত হয়ে দর্শনম্ পদ নিষ্পন্ন হয়। দৃশ্ ধাতুর সঙ্গে তিঙ্ প্রত্যয়
যুক্ত হয়ে তিঙন্ত পদ উত্পন্ন হয়, যেমন পশ্যতি ইত্যাদি। কিন্তু ল্যুট্ হল কৃত্ প্রত্যয়, দৃশ্ ধাতু পর ল্যুট্ প্রত্যয়
যুক্ত হয়ে উত্পন্ন দর্শন রূপটি হল প্রাতিপদিক এবং এর থেকে সুবন্ত পদ উত্পন্ন হয়, যেমন
দর্শনম্ দর্শনে দর্শনানি ইত্যাদি।
[3] প্রাসঙ্গিক পাণিনীয় সূত্র –
উভয়প্রাপ্তৌ কর্মণি
उत्तमम्
ReplyDeleteधन्यवादाः
ReplyDelete