Wednesday, 7 September 2016

দেবনাগরী লিপি ও বাক্য় সম্পর্কে ধারণা - পাঠ ১

*আগামী পোস্টগুলিতে আমরা সংস্কৃত ভাষা শেখার চেষ্টা করবো।  প্রথম পাঠে সাধারণ কিছু প্রাথমিক ধারণা দেওয়া হল। এগুলি মন দিয়ে পড়ুন এবং তারপর পরবর্তী পোস্টগুলিতে যান। সন্দেহ বা উপদেশসমূহ কমেন্ট বক্সে উল্লেখ করে বাধিত করবেন।

সংস্কৃতভাষা ও দেবনাগরী লিপি
দেবনাগরী লিপিতে সংস্কৃত লেখার অভ্যাস করা প্রয়োজন। এর অর্থ এই নয় যে দেবনাগরী লিপিতেই একমাত্র সংস্কৃত লেখা সম্ভব। সংস্কৃতভাষার নিজস্ব কোনো লিপি নেই। বাংলা, দেবনাগরী, ব্রাহ্মী ইত্যাদি বিভিন্ন লিপিতে সংস্কৃত লেখা হয়েছে এবং হবেও। তবু দেবনাগরী লিপির চল প্রত্যক্ষ করেই আমরা এরূপ নির্দেশ দিচ্ছি। তার সাথে সাথে রোমান লিপিতে ডায়াক্রিটিক ব্যবহার করে সংস্কৃত লেখারও অভ্যাস করা উচিত। 
स्वरवर्णाः
लृ
   
a
ā
i
ī
u
ū
 ḷ
e
ai
o
au

व्यञ्जनवर्णाः
वर्णाः

वर्णाः

 
स्पर्शाः
अन्तःस्थाः
ka
kha
ga
gha
ya
ra
la
va
ऊष्माणः
c
cha
ja
jha
ñ
śa
ṣa
sa
ha
ক্ষ
ত্র
শ্রী
জ্ঞ
ক্ত
क्ष
त्र
श्री
ज्ञ
क्त
ṭha
ḍa
ḍha
ṇa
kṣa
tra
śrī
jña
kta


ta
tha
da
dha
na



pa
pha
ba
bha
ma



সংস্কৃত বাক্য সম্পর্কে সাধারণ ধারণা

  • ·       নাপদং শাস্ত্রে প্রযুঞ্জীত – অর্থাত্ পদ ব্যতীত অন্য কিছু বাক্যে ব্যবহার করা উচিত নয়। 
    •   (সুতরাং, সংস্কৃত বাক্য দেখলেই বাক্যের প্রত্যেকটি একক পদ কিনা পরীক্ষা করুন এবং নিজেও পদ ব্যবহার করছেন কিনা এই বিষয়ে সতর্ক হোন।)
  • ·       যোগ্যতাকাঙ্ক্ষাসত্তিবিশিষ্টঃ (যোগ্যতা, আকাঙ্ক্ষা, আসত্তি) পদসমূহো বাক্যম্।  অর্থাত্ – যোগ্যতা, আকাঙ্ক্ষা ও আসত্তি বা সন্নিধিবিশিষ্ট পদসমূহ হল বাক্য। সংক্ষেপে বলা যায় পদসমূহ হল বাক্য।
  • ·        সুপ্তিঙন্তং পদম্। অর্থাত্ – সুবন্ত এবং তিঙন্ত কে পদ বলা হয়।
  • ·        সুপ্ নামক একুশটি বিভক্তি যার শেষে থাকে সেই বিভক্তিসহ শব্দটিকে বা প্রাতিপদিকটিকে সুবন্ত বলা হয়।  যেমন নরঃ, মুনিঃ, নরান্, মুনিনা ইত্যাদি।  সুপ্ বিভক্তি প্রাতিপদিক বা শব্দের পর হয়। শব্দের মূল রূপটিকে প্রাতিপদিক বলে। যেমন - নর, মুনি ইত্যাদি।
  • ·        তিঙ্ নামক আঠারোটি বিভক্তি যার শেষে থাকে সেই বিভক্তিসহ ধাতুটিকে তিঙন্ত বলা হয়। যেমন - ভবতি, গচ্ছতি ইত্যাদি। তিঙ্ বিভক্তি ধাতুর পর হয়। ক্রিয়ার মূল রূপটিকে বা প্রকৃতিটিকে ধাতু বলে। যেমন ভূ, গম্ ইত্যাদি।
  • ·        সুতরাং, বাক্যে সুবন্ত ও তিঙন্ত ছাড়া অন্য কিছুর প্রয়োগ করা অনুচিত এবং নিয়মবিরুদ্ধ।  

সুপ্ বিভক্তিগুলি হল-

एकवचने
द्विवचने
बहुवचने
प्रथमायाम्
सु
जस्
द्वितीयायाम्
अम्
औट्
शस्
तृतीयायाम्
टा
भ्याम्
भिस्
चतुर्थ्याम्
ङे
भ्याम्
भ्यस्
पञ्चम्याम्
ङसि
भ्यास्
भ्यस्
षष्ठ्याम्
ङस्
ओस्
आम्
सप्तम्याम्
ङि
ओस्
सुप्

এই একুশটি প্রত্যয়কে সুপ্-প্রত্যয় বলা হয়। সু দিয়ে শুরু আর প্ দিয়ে শেষ, আদি আর অন্ত্যকে ধরে এই একুশটি প্রত্যয়ের নাম সুপ্।

তিঙ্ বিভক্তিগুলি হল -
परस्मैपदम्

प्रथम-पुरुषे
मध्यम-पुरुषे
उत्तम-पुरुषे
एकवचने
तिप्
सिप्
मिप्
द्विवचने
तस्
थस्
वस्
बहुवचने
झि
मस्
आत्मनेपदम्

प्रथम-पुरुषे
मध्यम-पुरुषे
उत्तम-पुरुषे
एकवचने
थास्
इड्
द्विवचने
आताम्
आथाम्
वहि
बहुवचने
ध्वम्
महिङ्

এই আঠারোটি প্রত্যয়কে তিঙ্-প্রত্যয় বলা হয়। তি দিয়ে শুরু আর ঙ্ দিয়ে শেষ, আদি আর অন্ত্যকে ধরে এই আঠারোটি প্রত্যয়ের নাম তিঙ্।

যে ধাতুগুলি পরস্মৈপদ প্রত্যয়গুলিকে গ্রহণ করে সেগুলি হল পরস্মৈপদী ধাতু এবং যে ধাতুগুলি আত্মনেপদ প্রত্যয়গুলিকে গ্রহণ করে সেগুলি হল আত্মনেপদী ধাতু।  আবার যে ধাতুগুলি পরস্মৈপদ এবং আত্মনেপদ উভয়বিধ প্রত্যয়কেই গ্রহণ করে সেগুলি হল উভয়পদী ধাতু।



কর্তা – ক্রিয়া সম্পর্ক
পুরুষ 
প্রথম পুরুষ

মধ্যম পুরুষ

উত্তম পুরুষ
বচন 




একবচন
রামঃ/হরিঃ
(রাম, হরি)
খাদতি
ত্বম্
(তুমি)
খাদসি
অহম্
(আমি)
খাদামি



দ্বিবচন
রামৌ/হরী
(দুজন রাম, দুজন হরি)
খাদতঃ
যুবাম্
(তোমরা দুজন)
খাদথঃ
আবাম্
(আমরা দুজন)
খাদাবঃ




বহুবচন
রামাঃ/হরয়ঃ
(রামেরা, হরিরা)
খাদন্তি
যূয়ম্
(তোমরা)
খাদথ
বয়ম্
(আমরা)
খাদামঃ















শব্দরূপ ও ধাতুরূপ পরিচয়
একটি শব্দের সাধারণতঃ একুশটি রূপ (বিভক্তিভেদেআমরা দেখি আর তাদের অর্থও ভিন্ন ভিন্ন হয়। একটি শব্দের উদাহরণ নীচে দেওয়া হল 
শব্দ – নর (অকারান্ত পুংলিঙ্গ শব্দ)
বিভক্তি
একবচন
দ্বিবচন
বহুবচন
প্রথমা (উক্ত কর্তায়)
নরঃ
একজন মানুষ
নরৌ
দুজন মানুষ
নরাঃ
অনেক মানুষ মানুষেরা
দ্বিতীয়া (অনুক্ত কর্মে)
নরম্
একজন মানুষকে
নরৌ
দুজন মানুষকে
নরান্
অনেক মানুষকে মানুষদেরকে
তৃতীয়া (অনুক্ত করণে)
নরেণ
একজন মানুষের দ্বারা
নরাভ্যাম্
দুজন মানুষের দ্বারা
নরৈঃ
অনেক মানুষের দ্বারা মানুষদের দ্বারা
চতুর্থী (অনুক্ত সম্প্রদানে)
নরায়
একজন মানুষের জন্য
নরাভ্যাম্
দুজন মানুষের জন্য
নরেভ্যঃ
অনেক মানুষের জন্য মানুষদের জন্য
পঞ্চমী (অনুক্ত অপাদানে)
নরাত্
একজন মানুষের থেকে
নরাভ্যাম্
দুজন মানুষের থেকে
নরেভ্যঃ
অনেক মানুষের থেকে মানুষদের থেকে
ষষ্ঠী (সম্বন্ধে)
নরস্য
একজন মানুষের
নরযোঃ
দুজন মানুষের
নরাণাম্
অনেক মানুষের মানুষদের
সপ্তমী (অনুক্ত অধিকরণে)
নরে
একজন মানুষে
নরযোঃ
দুজন মানুষে
নরেষু
অনেক মানুষে মানুষগুলিতে
সম্বোধনে প্রথমা
হে নর
হে মানুষ
হে নরৌ
হে দুজন মানুষ
হে নরাঃ
হে অনেক মানুষ হে মানুষেরা

সংস্কৃতভাষায় আমরা অসংখ্য শব্দ ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু যদি সব শব্দের এরূপ একুশটি রূপ মুখস্থ করতে হয় তাহলে ভাষা শিখতেই এই জীবন ব্যতীত হবে, এই ভাষায় লিখিত রত্নরাজি করায়ত্ত হবে না। তাই লক্ষ লক্ষ শব্দসমূহকে অল্পসংখ্যক বিশেষ কিছু দলে ভাগ করে নেওয়া হয়েছে। প্রত্যেকটি দলে বিদ্যমান যেকোনো একটি শব্দের রূপসমূহ কণ্ঠস্থ করলেই সেই দলের বাকি শব্দসমুহের রূপ জানতে পারা যায়। যেমন উদাহরণস্বরূপ বলছি যে – নর হল অকারান্ত পুংলিঙ্গ শব্দ। এই অকারান্ত পুংলিঙ্গ হল দলটির নাম। নরশব্দের শেষে অকার আছে বলে অকারান্ত (ন্ অ র্ আর নর শব্দ হল পুংলিঙ্গ। এই শব্দের রূপ মুখস্থ করলে রামগ্রামলোভস্নেহবিষয়দেশলোক ইত্যাদি অসংখ্য শব্দের রূপ আলাদা করে মুখস্থ করতে হয় না। তাই আমরা চেষ্টা করবো সেই স্বল্পসংখ্যক শব্দসমূহের রূপ কণ্ঠস্থ করার যাতে আমরা সংস্কৃতভাষায় বিদ্যমান শব্দসমূহকে বিভিন্ন অর্থে বাক্যে প্রয়োগ করতে পারি। এরকম মুখ্য শব্দগুলি হল-
नायकशब्दाः
रामो हरिः करी भानुर्मरुत् कर्ता च चन्द्रमाः। विद्वाँश्च भगवानात्मा दशैते पुंसि नायकाः।। রাম, হরি, করিন্, ভানু, মরুত্, কর্তৃ, চন্দ্রমস্, বিদ্বস্, ভগবান্, আত্মন্
रमा रुचिर्नदी धेनुर्वाक्स्त्री श्रीर्गौर्वधुस्तथा। क्षुत् प्रावृट् च शरच्चैव द्वादश स्त्रीषु नायकाः।।
রমা, রুচি, নদী, ধেনু, বাক্, স্ত্রী, শ্রী, গৌ, বধু, ক্ষুত্, প্রাবৃষ্, শরত্
ज्ञानं दधि पयो वर्म धनुर्वारि जगत्तथा। मधु नाम मनोहारि दशैतानि नपुंसके।।
জ্ঞান, দধি, পযস্, বর্মন্, ধনুষ্, বারি, জগত্, মধু, নামন্, মনোহারিন্

এভাবেই ধাতুর ক্ষেত্রেও আমরা ধাতুসমূহকে কয়েকটি দলে ভাগ করে নিই এবং সেই দলের যে কোনো একটির রূপসমূহ মুখস্থ করলে সাধারণতঃ দলস্থিত অন্যান্য ধাতুগুলির রূপও অধিগত হয়। কিছু কিছু ধাতুর ক্ষেত্রে কিছু বিশেষ পরিবর্তন থাকে কিন্তু সাধারণতঃ রূপের গঠন একপ্রকার হয়। একটি ধাতুর সাধারণতঃ ৯৯ টি রূপ হয়। আমরা প্রথম পর্যায়ে ৪৫  (অথবা ৬৩) টি রূপ মুখস্থ করার চেষ্টা করবো। ধাতুসমূহকে দশটি দলে ভাগ করা হয় ভ্বাদিঅদাদিজুহোত্যাদিদিবাদিস্বাদিতুদাদিরুধাদিতনাদিক্র্যাদিচুরাদি। উদাহণস্বরূপ বলতে পারি যে ভূগম্ ইত্যাদি ধাতু হল ভ্বাদি ধাতুতাই এগুলির রূপ একই ধাঁচের হয়। একটি ধাতুর রূপসমূহ মুখস্থ করলে সেই দলের অন্য ধাতুর রূপগুলিও অনুমিত হয়।
भ्वाद्यदादी जुहोत्यादिर्दिवादिः स्वादिरेव च। तुदादिश्च रुधादिश्च तनक्र्यादिचुरादयः।।
ভ্বাদি (ভূ), অদাদি (অদ্), জুহোত্যাদি (হু), দিবাদি (দিব্), স্বাদি (সু), তুদাদি (তুদ্), রুধাদি (রুধ্), তনাদি (তন্), ক্র্যাদি (ক্রী), চুরাদি (চুর্)

উক্ত ধাতুগুলির সামান্য পরিচয় 
संख्या
गणनाम
विकरणम्
विकरणम्
रूपम्
1
भ्वादिगणः
शप्
भवति
2
अदादिगणः
शपो लुक्
लुग्विकरणम्
अत्ति
3
जुहोत्यादिगणः
शपः श्लुः
श्लुविकरणम्, (धातोः द्वित्वम्)
जुहोति
4
दिवादिगणः
श्यन्
दीव्यति
5
स्वादिगणः
श्नुः
नु
सुनोति
6
तुदादिगणः
शः
तुदति
7
रुधादिगणः
श्नम्
न्/
रुणद्धि, रुन्धः
8
तनादिगणः
उः
तनोति
9
क्र्यादिगणः
श्ना
ना
क्रीणाति
10
चुरादिगणः
शप्
(णिच्+शप्=अय)
चोरयति

আমরা অভিজ্ঞতা থেকে বলছি যে প্রথমে এই শব্দরূপ ও ধাতুরূপগুলিকে শ্রদ্ধা ও যত্নসহকারে কণ্ঠস্থ করলে প্রয়োগ করার সময় জটিলতা আসে কম আর পরবর্তীকালে বারবার ভাষার চর্চার ফলে রূপগুলি ক্রমে ক্রমে স্মৃতিতে গ্রথিত হয়তখন আর বই খুলে রূপগুলিকে দেখতে হয় না। কিন্তু সেই স্তরে যাওয়ার জন্য প্রথমে রূপগুলিকে কণ্ঠস্থ করা একান্ত আবশ্যক।
কিছু সাবধানতা
সংস্কৃতভাষার ছাত্রছাত্রীরা বেশ কিছু ক্ষেত্রে সমস্যার সম্মুখীন হয়আমরা তা অনুধাবন করেছি। তাই শিক্ষার্থীদের প্রথম থেকেই সেই বিষয়ে সাবধান করতে চাই। আমরা সংস্কৃত ভাষা লেখা এবং উচ্চারণের  সময় 
হলন্তযুক্ত আর হলন্তহীন বর্ণ
ৰকার (বর্গীয়আর বকার (অন্তঃস্থ)
নকার আর ণকার
শকারষকারসকার
জকার আর যকার ইত্যাদির ব্যবহার লক্ষ্য করবো।
  • সংস্কৃতভাষায় এবং বাংলা লিপিতে লেখার সময় অন্তঃস্থ য হিসাবে 'য' টি কেই ব্যবহার করুন, 'য়' ব্যবহার করবেন না। কারণ সংস্কৃতে অন্তঃস্থ য একটিই। অথবা কেবলমাত্র 'য়'- কেই ব্যবহার করুন। 
  • ব এবং  পূর্বলিখিতভাবে নির্দেশ করুন। 




17 comments:

  1. Thank you for the page. I am following.

    ReplyDelete
  2. নদীর শবদরূপ

    ReplyDelete
  3. একটি ধাতুরূপের কটি রূপ আমরা পাই?

    ReplyDelete
  4. একটি ধাতুরূপের কটি রূপ আমরা পাই?

    ReplyDelete
  5. একটি ধাতুরূপের কটি রূপ আমরা পাই?

    ReplyDelete
  6. सुन्दरम् अभूतपूर्वम् आयोजनम्

    ReplyDelete
  7. সুপ বিভক্তি দেখলাম, ভালো লাগলো। আমি খুঁজছিলাম আত্মনেপদ তে আতে আন্তে ইত্যাদি।পেল পেলাম না।

    ReplyDelete
    Replies
    1. তে আতে অন্তে এগুলো ত আতাম্ ঝ ইত্যাদি আত্মনেপদ প্রত্যয় কিছুটা লকার অনুযায়ী প্রসেস করে বানানো। তাই প্রত্যেকটা লকারে আলাদা আলাদা করে শেখেন অনেকে। এগুলো কিন্তু সরলীকরণ, ভ্রান্তিও আছে কিছু। আসলে আত্মনেপদ প্রত্যয় ৯টাই, সব লকারে ওইগুলোই থাকে।

      Delete
    2. তে আতে অন্তে এগুলো ত আতাম্ ঝ ইত্যাদি আত্মনেপদ প্রত্যয় কিছুটা লকার অনুযায়ী প্রসেস করে বানানো। তাই প্রত্যেকটা লকারে আলাদা আলাদা করে শেখেন অনেকে। এগুলো কিন্তু সরলীকরণ, ভ্রান্তিও আছে কিছু। আসলে আত্মনেপদ প্রত্যয় ৯টাই, সব লকারে ওইগুলোই থাকে।

      Delete