ৰ এবং ব নির্ধারণ
বিবেক কর্মকার
স্কটিশ চার্চ কলেজ, কলকাতা
ৰ হল পবর্গের অন্তর্ভুক্ত (প, ফ, ৰ, ভ, ম), তাই একে পবর্গীয়
ৰ বলে। ব হল অন্তঃস্থ বর্ণ (য, র, ল, ব), তাই একে অন্তঃস্থ ব বলে। বাংলায় উচ্চারণের
সময় আমরা এই ব এবং ৰ এর পার্থক্য করি না, বা অন্তঃস্থ ও পবর্গীয় ব কে আলাদা করে
লিখিও না। কিন্তু সংস্কৃতে যেহেতু বদুটির স্পষ্ট উচ্চারণগত পার্থক্য আছে এবং
দেবনাগরী লিপিতেও বদুটিকে ভিন্নভাবে লেখা হয় তাই কোথায় পবর্গীয় ৰ হয় আর কোথায়
অন্তঃস্থ ব হয় তা জানা খুব জরুরী। অন্তঃস্থ ব এরই প্রয়োগ সংস্কৃতে বেশি হয়। পবর্গীয়
ৰ এর ব্যবহার অপেক্ষাকৃত অনেক কম। তাই আমরা যদি পবর্গীয় ৰ এর ব্যবহার কোথায় হয়
জানতে পারি তাহলে অন্তঃস্থ ব কোথায় হবে তা সহজে নির্ণয় করতে পারব।
বর্গীয় ৰ
নির্ধারণের জন্য কিছু সাধারণ উপায় এখানে নির্দেশ করছি –
১. ৰন্ধ্, ৰুধ্, ৰৃহ্, ব্রূ,
লম্ব্, চম্ব্(যাওয়া), চুম্ব্, ইত্যাদি
ধাতুতে ৰ এর প্রয়োগ হয়। তাই এই ধাতুগুলি থেকে যত শব্দ বা ধাতু নিষ্পন্ন হয় সব
স্থানেই পবর্গীয় ৰ থাকে। উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে –
ৰন্ধ্ – ৰধ্নাতি, ৰধ্যতে, ৰন্ধঃ,
প্রৰন্ধঃ, নিৰন্ধঃ, ৰন্ধুঃ, ৰাধঃ ইত্যাদি।
ৰুধ্ – ৰুধ্যতে, ৰোধঃ, ৰুদ্ধিঃ
ইত্যাদি।
ৰৃহ্ - ৰৃহৎ, ব্রহ্ম(ৰ্ র্ অ) ইত্যাদি।
ব্রূ(ৰ্ র্ ঊ)– ব্রূতে (ৰ্ র্ ঊ) ইত্যাদি।
লম্ব্ – লম্বমানম্, লম্বতে,
নিরালম্বম্ ইত্যাদি।
চম্ব – চম্বতি, চম্বিতম্ ইত্যাদি।
২. সন্ধির সময়
যদি পবর্গীয় কোনো বর্ণ থেকে ৰ আসে তাহলে সবসময় পবর্গীয় ৰ হবে। যেমন – সুপ্+বিভক্তি = সুৰ্-বিভক্তি, সুপ্ + অন্ত = সুৰন্ত, অপ্+জ= অব্জ (ৰ্ জ)।এরকম ক্ষুভ্-ক্ষুব্ধ, দভ্ -দব্ধ, দৃভ্-দৃব্ধ, আরভ্-আরব্ধ,
লভ্-লব্ধ ইত্যাদি শব্দেও পবর্গঘটিত বর্ণ
থেকে আগত ৰ থাকে। উক্ত শব্দগুলিতে ভকার থেকে ৰকার এসেছে। যদি উকার থেকে ব আসে
তাহলে অন্তঃস্থ ব হবে। যেমন – মনু + অন্তর = মন্বন্তর, মধু+অরি = মধ্বরি ইত্যাদি।
৩. ম এর পরবর্তী
ব যদি যণ্ সন্ধিঘটিত না হয় (অর্থাৎ উ থেকে ব না আসে) তাহলে তা সবসময় বর্গীয় ৰ ই
হয়। যেমন - অম্বর, অম্বা, উদুম্বর, কম্বু, কলম্ব, জম্বুকঃ, তাম্বুলম্, নিতম্ব,
নিম্ব, উম্ব, উম্বী, কম্বলম্, কদম্বকম্, কাদম্বঃ, ডিম্বম্ ইত্যাদি।
৪. ৰালকঃ, ৰালিকা, ৰহিঃ, ৰাহুঃ,
ৰহুঃ, ৰলম্, ৰিন্দুঃ, শব্দঃ(ৰ্ দ্ অ), ৰাণঃ, ৰীজম্,ক্লীৰম্,ৰটুঃ,ৰিম্বম্,ৰদরফলম্, ৰাদরায়ণঃ, ৰাডবঃ, অব্দম্(ৰ্ দ্ অ), অর্ৰুদম্,অলাৰুঃ,
ৰর্হিঃ, শৰরঃ, শৰলম্, কিল্বিষম্, কুব্জঃ, নিৰর্হণম্, নির্ৰর্হণম্,উল্বম্, ৰিডৌজা ইত্যাদি
শব্দে ৰকারের ব্যবহার হয়।
৫. পাধাতুর
স্থানে যে পিৰ্ আদেশ হয় তা বর্গীয় ৰযুক্ত হয়। ফলে পিৰতি, অপিৰৎ এরকম রূপ হয়।
৬. দ্বিত্বের ফলে আগত ব বর্গীয় ৰ হয়। দ্বিত্বের
তিনটি ক্ষেত্র নির্দেশ করা হল -
ক) ধাতুসমূহের লিট্ লকারে প্রয়োগের সময় ধাতুসমূহের দ্বিত্ব হয়। দ্বিত্বের ফলে
আগত প্রথম ৰ বর্গীয় ৰ হয়। লিট্ লকারের প্রয়োগে উদাহরণ হল – ভূ - ৰভূব, ৰন্ধ্-ৰৰন্ধ
ইত্যাদি।
খ) জুহোত্যাদিগণে সার্বধাতুক লকারে ধাতুর দ্বিত্ব হয় এবং দ্বিত্বের ফলে যদি ৰ
আসে তাহলে তা বর্গীয় ৰ ই হবে। যথা – ভী – ৰিভেতি ইত্যাদি।
গ) সন্ বা যঙ্ প্রত্যয় পরে থাকলেও ধাতুসমূহের দ্বিত্ব হয়।দ্বিত্বের
ফলে আগত প্রথম ৰ বর্গীয় ৰ হয়। সন্ ও যঙ্ প্রত্যয়ের যোগে উদাহরণ হল - ভী –
ৰিভীষিকা, ভূষ্ – ৰুভূষতি, ভুজ্ – ৰুভুক্ষা, ভূ – ৰোভূয়তে ইত্যাদি।
৭. বি এবং অব এই
দুইটি বঘটিত উপসর্গে অন্তঃস্থ ব ই থাকে। তাই বি আর অব থাকলে নিঃসংশয় হয়ে অন্তঃস্থ ব
ব্যবহার করা যায়। উদাহরণ –
বিপ্লবঃ, অবৰোধঃ, বিজ্ঞানম্, বিস্ময়ঃ,
অবরোধঃ, অবান্তরম্ ইত্যাদি।
এটা প্রাথমিকভাবে নির্মিত। সসূত্র ব্যাকরণ নিয়ম অনুসারে এটি পরে প্রদত্ত হবে। আপাততঃ এতে ব্যবহারে সুবিধা হবে বলে আশা করি।
খুব ভালো লেখা হয়েছে স্যার। আমার সব পোস্ট গুলো ই ভালো লেগেছে। আর ও লেখা পোস্ট করবেন।পড়ে উপকৃত হব।
ReplyDeleteAll the lessons are very important, l am reading minutely. Following, these , Sanskrit language is going to be very interesting to me. I am grateful about my teacher
ReplyDeleteGood job 👌
ReplyDeleteখুব ভালো |
ReplyDeletevery good
ReplyDeleteস্যার আপনাকে ধন্যবাদ জানাই এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করার জন্য 🙏🙏
ReplyDeleteKhub valo bujhiyechen sir
ReplyDeleteअति उत्तमम् महोदय।धन् धन्य🙏 ्
ReplyDeleteঅসাধরণ।
ReplyDeleteস্যার, বাংলা বর্ণমালায় এটার ব্যবহার কতদিন আগে হতো?
ReplyDeleteএটা নতুন করে চালু করা ভীষণ প্রয়োজন।